
মাটি, ভুমিখন্ড এবং বাড়ি বাস্তু নিয়ম অনুসারে তৈরি হবার পরও তাতে বসবাসকারি ব্যক্তিকে খানিকটা বাস্তু নিয়মের ভিতরে থেকে বসবাস করা উচিত –
১. শোবার সময় আপনার মাথা দক্ষিন বা পুর্ব দিকে রেখে শোওয়া উচিত।
২. দরজা, জানালা খোলা বা বন্ধ করার সময় সাবধানি রাখা উচিত , যাতে কর্কশ আওয়াজ না হয়।
৩. টেলিফোনের পাশে জলভর্তি কলসি বা বোতল রাখা যাবে না। টেলিফোন ধনির বিধুষিত কিরনে জলের গুনগত মানের পরিবর্তন হতে পারে। জল এর জন্য ক্ষতিকারক।
৪. গুরুত্ত্বপুর্ন কাগজপত্রকে পুর্বদিকের আলমারির মধ্যে রাখা উচিত। অন্যথায় এর সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনা আপনার জন্য লাভদায়ক হবে না।
৫. ঘরে সিন্ধুক থাকা জরুরী এবং এর অবস্থান ঈশান কোনে হওয়া বাধ্যতামুলক।
৬. রান্নাঘর অগ্নিকোনে এবং পুর্বদিকে মুখ করে রান্না করা উচিত। রান্নাঘরে সব্জী বা তরকারি কেটে মেঝেতে রাখা উচিত নয়।রান্নার আনুসঙ্গীক জিনিসপত্র ডান দিকে রাখা উচিত এতে রান্নাঘরের শোভা বাড়ে ও রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়ে।
৭. নিজের ঘরের বিছানার চাদর দিনের বেলায় বদলিয়ে নেওয়া উচিত।
৮. চপ্পল, জুতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে বা উল্টিয়ে রাখা উচিত নয় এতে পরিবারে ঝগড়া অশান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৯. রাতের পরা কাপর সকালে বদলে ফেলুন ।আপনার কাচা কাপড়ের সঙ্গে ময়লা কাপড় রাখবেন না।
১০. যদি আপনি সেভিং করেন, তাহলে প্রতিদিন সেভিং করবেন। খোঁচা খোঁচা দাড়ি গরিবীর জন্ম দেয়।
১১. ঘরের দেওয়ালে বেশি ছবি টানাবেন না। যে কোন গুরুত্ত্বপুর্ন ছবি একটি বা দুটো টানালেই হবে । মৃত ব্যক্তির ছবি ড্রয়িংরুম বা সদর দরজার পাশে রাখবেন না ।
১২. চিরুনি এবং সাজ সজ্জার জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে নয়, যত্ন করে সাজিয়ে রাখুন।
১৩. সকালে উঠে সবার আগে সদর দরজায় এক গ্লাস জল ঢালা উচিত।
১৪. সব সময় চেষ্টা করুন সকালের সুর্যরশ্মি আপনার শরীরে যেন অধীক সময় পড়ে।
১৫. সুর্য উদয় হওয়ার পুর্বে আপনার উঠোনকে পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।
১৬. গুরুত্ত্বপুর্ন কাজে যাওয়ার সময় ডিম বা মাংস খাওয়া উচিত নয় এবং এর দর্শন করাও উচিত নয়। গুরুত্ত্বপুর্ন কাজে যাওয়ার সময় দই খাওয়া ও মাছের দর্শন শুভ বলে মানা হয়।
১৭. এই রকম পাখা ব্যবহার করা উচিত নয় যে কর্কশ ধ্বনি উৎপন্ন করে। এতে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
১৮. মানুষের জীবনে সুগন্ধের গুরুত্ত্ব অপরিসীম। আমাদের গুপ্ত ইন্দ্রিয় একে খুব তাড়াতাড়ি স্বীকার করে। তাই প্রায়-ই সন্ধ্যেবেলা এবং রাত্রিতে শোবার সময় সুগন্ধের ব্যবহার করা উচিত। এতে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়।
টিপস্ গুলো মেনে চললে আপনার কোন ক্ষতি হবে না ।