কুবের, স্বর্গের ব্যাঙ্ক এবং অর্থের দেবী লক্ষ্মী । ধনতেরাস দ্বিগুণভাবে তাদের অর্থশক্তি, সামর্থ, সাহচার্য্য আপনাদের দান করবেন। আপনি তাদের ঐশ্বরিক শক্তির সাথে জোরদার হবেন যা আপনাকে সাফল্য এবং সুখের শীর্ষে নিয়ে যাবে। লক্ষ্মী -কুবের যন্ত্র পুজন করে চিরদিনের জন্য স্বর্গের ব্যাঙ্ক, ঈশ্বর ও দেবীকে ধরে রাখুন।

কি সুফল আপনি পেতে পারেন?
১. যন্ত্রের শক্তিশালী বিকিরণগুলি আপনার প্রতি ইতিবাচকতা এবং চিত্তাকর্ষক সব ধরণের ধন-সম্পদ নিয়ে আসবে।
২. যান্ত্রিকের জ্যামিতিক নকশার আপনার আয়ের উত্স বাড়বে।
৩. আপনি অপ্রত্যাশিত উত্স থেকে আর্থিক লাভ পেতে পারেন।
৪. আপনি একটি স্থিতিশীল আর্থিক অবস্থান ভোগ করবেন।
৫. আপনার বস্তুগত ইচ্ছাগুলি পূরণ করার সময় আর কোন চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে না যখন আপনি লক্ষ্মী কুবের যন্ত্রের মালিক হবেন।
৬. ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বৃদ্ধি ।
৭. হারানো সম্পদ উদ্ধার।
৮. জীবন শৈলীর উন্নতিকরন।
৯. ইতিবাচক নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি ।

পুজন মন্ত্র –
১. ওম ইয়াকশায়া কুবেরায়া বৈশরাবানায়া ধনধনাধিপতয়া ধনধনয়্যাসমৃদ্ধিম মে দেহি দপায়া স্বাহা।
২. ওঁ শ্রীম হ্রীম ক্লীম শ্রীম ক্লীম বিত্তেশভারায়া নমহ্।
৩. ওঁ হ্রীম শ্রীম ক্লীম শ্রীম কুবেরায় অষ্ট-লক্ষী মম গৃহে ধনম পুরায়া পুরায়া নমহ্।
৪. ওম শ্রীম লক্ষ্মী কুবেরায় নামহা
(নির্ধারিত মন্ত্রকে ১০৮ বার উচ্চারন করা প্রয়োজন)

পদ্ধতি –
১. একটি পরিষ্কার এবং পবিত্র বেদীর মধ্যে পূর্ব বা উত্তর সম্মুখীন যন্ত্রমটি রাখুন।
২. যন্ত্রম-টিকে গোলাপের জল বা দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর, এটা জলদিয়ে ধুয়ে শুকনো করুন।
৩. যন্ত্রমের রঙ সময়ের পরিবর্তে পরিবর্তিত হতে পারে। খুব পরিবর্তন হলে আগামি বছর পরিবর্তন করুন।
৪. যন্ত্রমের চারটি কোণে এবং যন্ত্রের কেন্দ্রস্থলে চন্দন কাঠের পেস্ট দিয়ে গোলাকৃতি বিন্দু তৈরি করুন।
৫. মোমবাতি বা ঘি-বাতি এবং যন্ত্রমের সামনে ধূপ জ্বালান ।
৬. প্রসাদ হিসাবে আপনি তাজা বা শুকনো ফল দিতে পারেন।

প্রভু কুবের সম্পদ বিতরণকারী হলেও, দেবী লক্ষ্মী সমৃদ্ধি আনেন। আরো অনেক কিছু লেখা যায়, সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ফর্দ- এরকম হতে পারে- ( এক বামুন-ঠাকুরের দেওয়া)
১. সিদ্ধি-১টি,
২. সিন্দুর-১টি, আলতা-১টি,
৩. ঘট- ১টি,
৪. ডাব-১টি,
৫. গামছা-১টি, (শাড়ি-খুশি হলে দেওয়া যেতে পারে)
৬. পান-৫টি,
৭. সুপারি-৫টি,
৮. বাতাসা- ১০০গ্রাম,
৯. পৈতা- ৫টা,
১০. তিল – ২৫ গ্রাম,
১১. হরিতকি – ৫টি,
১২. দোলাঙ্গী-১টি,
১৩. গাওয়া ঘী-৫০গ্রাম,
১৪. মধু- ৫০গ্রাম,
১৫. চিনি- ১০০ গ্রাম,
১৬. দই- ২৫০গ্রাম,
১৭. দুধ- ২৫০গ্রাম,
১৮. ছানা- ৫০গ্রাম,
১৯. মাখন- ৫০গ্রাম
২০. ভোগের ফলমুল- পরিমান মতো,
২১. ভোগের মিষ্টি- পরিমান মতো,
২২. আতপ চাল- ২৫০গ্রাম,
২৩. ভোজ্য পুন্যপত্র-
২৪. পুজার ফুল, তুলসি, দুর্বা, চন্দন,বেলপাতা- পরিমান মতো
২৫. লাল সালু- ১মিটার,
২৬. দক্ষীনা- পুরোহিতের চাহিদা মতো।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *