
- বাস্তু বলছে, সন্তান চাইছেন এমন দম্পতির ঘর সব সময় উত্তর-পশ্চিমমুখী হওয়াই ভালো। অন্তত ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না গর্ভধারণ হচ্ছে, কিছু বাস্তুব্যাখ্যা এই রকম-
- কোনও কষ্ট ছাড়াই নিরাপদে মা হওয়ার আরও একটা সহজ উপায়, গর্ভাবস্থায় সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মুখী ঘরে শোওয়া। বদলে উত্তর-পূর্ব মুখী ঘরেও শোওয়া যেতে পারে। মাথায় রাখবেন, ভরা মাসে গর্ভবতীর উত্তর-পশ্চিম মুখী ঘরে না শোওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
- শুধু ঘর নয়, শুতেও হবে নির্দিষ্ট দিক মেনে। বাস্তুশাস্ত্র মতে, গর্ভিনী সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা করে শোবেন। এই দিক এই অবস্থার জন্য শুভ।
- এই সময় ঘর আর পোশাকের রং কেমন হবে? বিশেষজ্ঞের মতে, লাল, কালো বা কমলা-র মতো গাঢ় রং এড়িয়ে চলাই ভালো। পরিবর্তে পোশাকে বা ঘরের দেওয়ালে হাল্কা নীল, সাদা বা হাল্কা গোলাপি স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, গাঢ় রং অনেক সময় গর্ভবতীকে অবসাদগ্রস্ত করে তুলতে পারে। যা মা আর সন্তানের জন্য একেবারেই কাম্য নয়। বরং হাল্কা রং ডিপ্রেশন কাটাতে সাহায্য করে।
- জানেন কি, নীল রং শরীরের পক্ষে ভীষণ আরামদায়ক! এই জন্যই বেশির ভাগ সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমে নীল রং ব্যবহার করা হয়। আসলে নীল রঙে অ্যাস্ট্রিনজেন্টের পরিমাণ বেশি। এই উপাদান গর্ভবতীর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। তাই বাস্তু ভাবী ‘মা’-র ঘরে নীল বা বেগুনি রঙের আলো লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে।
- এই অবস্থায় অবসর কাটনোর সেরা উপায় ভালো অর্থাত্ ইতিবাচক বই পড়া। সেই সঙ্গে দেওয়ালে বাচ্চার হাসিখুশি ছবি আটকাতেও ভুলবেন না। এগুলো পজিটিভ এনার্জি-র জন্ম দেয়। যা মা এবং সন্তান উভয়ের পক্ষেই উপকারী।
- বাস্তু মতে ঘরের কেন্দ্রস্থানের আরেক নাম ব্রহ্ণস্থান। এই স্থান সব সময় ফাঁকা রাখার চেষ্টা করবেন। অর্থাত্ , ঘরের মাঝখানে কোনও ভারী আসবাব না রেখে চারপাশে সাজিয়ে রাখুন।