বাস্তুশাস্ত্রে মাছকে শুভ মনে করা হয়। বলা হয়, মাছের মধ্যে এমন শক্তি থাকে, যা বাড়ি থেকে যে কোনও ধরনের নেতিবাচক কম্পন ( নেগেটিভ এনার্জি) দূর করে ইতিবাচক কম্পন -এর বৃদ্ধি করে, গৃহশান্তি বজায় রাখে এবং সমৃদ্ধ করে তোলে। তাই বাস্তু এবং ফেংশুইতে সঠিক স্থানে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।আমার মতে এটি একটি দৃষ্টি নন্দন বাস্তুর উপাদায়ী একটি বস্তু।

কাটা মাছ রাখা উচিত-
১. ফেংশুই অনুসারে অ্যাকোয়েরিয়ামে অন্তত পক্ষে ৯টি মাছ রাখা উচিত।
২. আটটি লাল বা সোনালি রঙের এবং একটি কালো মাছ রাখা উচিত।
৩. জ্যোতিষশাস্ত্রে গ্রহের সংখ্যা ৯, তাই ফেংশুইয়েও অ্যাকোয়েরিয়ামে ৯টি মাছ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।বা ৯ এর গুনিতক হারে রাখা যেতে পারে।
৪. আমার মতে জাতক নিজের পছন্ধের গুনতির হারে মাছ রাখতেই পারেন এতে সংখ্যাত্ত্বের কোন সম্পর্ক
নেই।

মৃত মাছ বিপত্তি দূর করে- ‌
১. কোনও মাছ মারা গেলে সেটিকে বার করে, তার জায়গায় নতুন মাছ আনবেন। তবে মনে রাখবেন, যে রঙের মাছের মৃত্যু হয়েছে, সেই রঙেরই মাছ পুনরায় রাখতে হবে। (এটি বাধ্য বাধকতা নয়)। মাছ যদি ঘনঘন মাড়া যায় তাহলে জল, বাতাস, আলো – এই তিনটির ব্যালেন্স হচ্ছে না সেটি ধরে নেওয়া যেতে পারে, বা মাছের এক্সপার্ট-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
২. ফেংশুই অনুযায়ী যখন কোনও মাছের মৃত্যু হয়, তখন সে বাড়িতে আগত বিপত্তিও নিজের সঙ্গে নিয়ে যায়।(শোনা যায়, এর কোন বৈঞ্জানিক ব্যখ্যা নেই)

অ্যাকোয়েরিয়াম কোথায় রাখবেন-
১. ফেংশুই অনুযায়ী অ্যাকোয়েরিয়ামকে পূর্ব, উত্তর অথবা উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিত। (জল তত্ত্ব)। রেমিডিয়াল মেজার হলে অনেক সময়- দক্ষিন-পুর্ব দিকেও রাখা যেতে পারে।
২. শয়নকক্ষ-এ মানসিক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। রান্নাঘরে রাখলে – অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর সৃষ্টি করে। কারণ এর ফলে সম্পত্তিহানি হয়।
৩. মধুর দাম্পত্য জীবনের জন্য মুখ্য দ্বারের বাম দিকে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখা উচিত।
৪. সঠিকস্থানে আবার না রাখলে বাস্তুদোষের কারন হতে পারে।
৫. স্টাডিরুমে কখন-ই নয়।

আমার কিছু তথ্য-
১. দিক, ও স্থান এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় যেখানে বস্তুটি সহজে দৃশ্যমান হয় যা পরিমন্ডলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটায় ও পরিস্কার করা সহজ হয়।
২. পরিমাপ এমন হওয়া বাঞ্ছনীয় সেটি যেন সমগ্র ঘনাকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে।
৩. অন্য কারো বাড়িতে দেখে আসার পর-ই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে হবে এটি কখনো ভাবা যাবে না। যদি তাই হয় প্রথমেই পরিচর্যার বিষয়টি ভালো করে সেই প্রতিবেশি বা অ্যাকোয়ারিয়াম বিশেষঞ্জের কাছে জেনে নেওয়া প্রয়োজন ।
৪. মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ঘটায়, মানসিক আনন্দ প্রদান করে।
৫. চিকিৎসা বিঞ্জানের গবেষনা অনুযায়ী- উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ- জাতীয় রোগ থেকে আংশিক মুক্তি বা প্রভাব অনেকাংশে কমতে পারে বলে প্রমানিত হয়েছে। আরো লক্ষ করা গেছে- মানসিক অবসাদ গ্রস্থ শিশু বা মানসিক রোগীর ক্ষেত্রেও এটি লাভদায়ক। ( দিঘার জল কি এই জন্য-ই সবাইকে এত টানে) জলতত্ত্ব
৬. ফেংশুই অনুযায়ী চি শক্তি উৎপন্ন হয়। এখন চিনা সব কিছু-ই যখন বর্জন করতে হবে, তখন ব্যখ্যা-ও বর্ন হোক। এটি নেতিবাচক শক্তি হতে পারে।
৭. আমরা তো কাওকে দুমুঠো খাবার দিতে পারবো না, সারাদিনে মাছগুলোকে একটু খাবার দিলে হয়তো কর্মের ভাব বৃদ্ধি হবে।
৮. পুরান অনুসারে ভগবান বিষ্ণুর পৃথিবীতে প্রথম পুনর্জন্ম হল মৎস আবতার হয়ে তাই মাছের যত্নে ভগবানের আরাধনা হতেই পারে। বিতর্কিত- বৈষ্ণবরা আবার মৎস ত্যাগী।
৯. অ্যাকোয়ারিয়ামটি বায়ুযুক্ত, পরিস্কার, স্বাস্থ্যকর, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রগুলি ত্রুটিমুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই প্রক্রিয়াটি খুব-ই কষ্টকর। তাই বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম আনার আগে খুব ভালো করে ভাবনা চিন্তা করা উচিত।
১০. যদি সত্যি-ই অ্যাকোয়ারিয়াম বাড়িতে থাকে এবং সব-ই সঠিক নিয়ম পালন করা যায় তাহলে- আর্থিক উন্নতি, মন্দ প্রভাব (ইভিল ইফেক্ট), কাটবেই।

এখানে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখলে স্বামীর মন চঞ্চল হয়-
১. ডান দিকে অ্যাকোয়েরিয়াম রাখলে স্বামীর মন চঞ্চল হয়। পরস্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। ( শোনা যায়)

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *