বহু যুগ ধরে আমরা ‘ওষুধ’ হিসেবে মধু-কে ব্যবহার করে আসছি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মধু-র গুণাগুণের কথা বিশদে বলা আছে। আবার পুরাণ বলছে, শুধু ‘ওষুধ’ নয়, গুণনিধি ‘মধু’ পুজোর কাজে এমনকী রোজের জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে?
মৌমাছির থেকে তৈরি মধু খুবই শুদ্ধ এবং প্রাকৃতিক। বেদ-পুরাণ মতে, এই শুদ্ধতার জন্যই ঈশ্বরের পুজোয় মধু ব্যবহৃত হয়।
দেবাদিদেব মহাদেবের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু মধু। মধু দিয়ে নিয়মিত শিবলিঙ্গকে স্নান করাতে পারলে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। বিশেষ করে আর্থিক অনটনের সময় রোজ মধু দিয়ে শিবের অভিষেক করতে পারলে, ধার-দেনা মিটে গিয়ে অর্থ-সম্পদ প্রাপ্তিযোগ ঘটে।
পঞ্চতত্ত্ব অনুসারে মধু ‘আকাশ’-র প্রতীক। অর্থাত্‍, মহাকাশের প্রতিনিধি মধু।
আয়ুর্বেদ মতে, মধু খুব ঠাণ্ডা। তাই পেট এবং শারীরিক দুর্বলতা সম্বন্ধীয় যাবতীয় সমস্যায় মধু ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া, ভিটামিন এ ও বি থাকায় চোখের জ্যোতি বাড়াতেও সাহায্য করে।
বাস্তু শাস্ত্র বলছে, শনিদেবকে তুষ্ট করতে মধু সিদ্ধহস্ত। ঘরে তাই পাত্র করে মধু রাখতে পারলে শনিদেবের কোপ থেকে নাকি বাঁচা যায়। বিশেষ করে সাড়ে সাতি দশার দুর্দশা কমাতে মধু-র নাকি বিশেষ ভূমিকা আছে।
এখানেই শেষ নয়। বাস্তুকারেরা বলছেন, ঘরে মধু রাখা অত্যন্ত শুভ। আমাদের চারপাশের নেগেটিভ এনার্জিকে নষ্ট করার ক্ষমতা মধুর মধ্যে রয়েছে। এর পজিটিভ এনার্জি পরিবারের সবার পক্ষে শুভ। তাই বাস্তু মতে, সবার ঘরেই অল্প পরিমাণে মধু রাখা উচিত।
ওজন বাড়নো বা কমানোর ক্ষেত্রে মধু দারুণ কার্যকরী। যেমন, রোজ খালি পেটে ঈষদুষ্ণ জলে মধু মিশিয়ে খেলে ওজন কমবে। ওজন বাড়াতে চাইলে রোজ রাতে গরম দুধে মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *