পরীক্ষা এলেই মা-বাবার টেনশন শুরু। কেমন হবে ছেলে-মেয়ের রেজাল্ট? ভালো ফল করবে তো? পরীক্ষার্থীদেরও বুক ঢিপ ঢিপ…. সারা বছরের পরিশ্রম যেন জলে না যায়। কিন্তু এমনটাও দেখা গিয়েছে, বছরভর খেটেও ভালো রেজাল্ট হয়নি। তা হলে উপায়?
বাস্তুশাস্ত্র বলছে, ফেংশুই-এর সাহায্যে স্টাডিরুম সাজালে সুফল পাওয়া যেতে পারে। স্টাডিরুমে নেগেটিভ এনার্জি সরিয়ে পজিটিভ এনার্জি আনতে পারে কেবল ফেংশুই। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে। জেনে নিন, ফেংশুই মতে কী ভাবে শিক্ষার্থীর পড়ার ঘর সাজাবেন—
ফেংশুই মতে, পড়ার ঘর পুব বা উত্তর-পুবমুখী হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ঈশান কোণ অর্থাত্‍ উত্তর-পুব দিকে মুখ করে বসে পড়াশোনা করলে ভালো ফল মিলবে। সেই সঙ্গে ঘরের উত্তর-পুব কোণে ক্রিস্টাল বল রাখতে হবে। এতে ঘরে পজিটিভ এনার্জির পরিমাণের পাশাপাশি পড়ায়ও মনোযোগ বাড়বে।
দাবা-রাজনীতি, বই-অধ্যয়ন, পেন্টিং-সৃজনশীলতা এবং বাঁশি-সঙ্গীতের প্রতীক। ফেংশুই বলছে, এই চারটি বস্তু পড়ার ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে রাখলে শিক্ষায় সাফল্য আসবে।
অনেক সময়ই দেখা যায়, পড়ার ঘরের সব জিনিস ঠিক দিকে এবং ঠিক অভিমুখে রাখা সত্ত্বেও পরীক্ষায় বা পড়াশোনায় সাফল্য আসছে না। এমনটা কেন হয়? আসলে দীর্ঘদিন এক ভাবে জিনিস থাকার ফলে ঘরে পজিটিভ এনার্জি আসতে পারে না। এমন নিষ্ক্রিয়তা কাটাতে চাইলে আবার নতুন করে ঘর সাজাতে হবে। জিনিসপত্র নতুন ভাবে রাখতে হবে। তাহলেই পজিটিভ এনার্জি আসবে। সপ্তাহে এক বার নুন জল দিয়ে ঘর মুছলেও একই ফল মিলবে।
পড়ার ঘরের দেওয়ালে আয়না আছে? পড়তে বসলে তাতে কি পড়ুয়ার ছায়া পড়ে? এমন যদি হয়, তা হলে সবার আগে আয়না সরিয়ে এমন জায়গায় রাখুন যেখানে ছাত্র-ছাত্রীর ছায়া পড়বে না। পড়ার সময় আয়নায় ছায়া পড়লে শিক্ষার্থীর কাছে পড়া ‘বোঝা’ হয়ে দাঁড়ায়।
ছোটদের স্বভাবই হল টেবিলে বই-খাতা ছড়িয়ে পড়তে বসা। আর পড়ার শেষে টেবিল না গুছিয়ে উঠে পড়া। পড়ার টেবিল কিন্তু সব সময় পরিচ্ছন্ন, গুছোনো থাকা উচিত। আরও একটা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে— পড়ার চেয়ারের পিছনে যেন দরজা বা জানলা না থাকে। এমন ভাবে টেবিল রাখবেন যাতে পড়তে বসলে চেয়ার পিছনে দেওয়াল পড়ে।
পড়ার ঘরের দেওয়ালের রং সব সময় হাল্কা হবে। স্টাডি রুমের জন্য তাই স্বচ্ছন্দে বাছতে পারেন হাল্কা হলুদ, সাদা, বাদামি, গোলাপি, আকাশি বা হাল্কা ফিরোজা রং। ফার্নিচারও একই রঙের হবে। সেই সঙ্গে বাচ্চাকে নানা রঙের পেন-পেন্সিল ব্যবহার করতে দিন। এতে মস্তিষ্কে পজিটিভ এনার্জি বেশি করে প্রবেশ করবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *