টেনশনের জন্য আসলে কে দায়ী? পরিস্থিতি, পরিবেশ, চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা…. নাকি আমাদের মন! বাস্তুশাস্ত্র কিন্তু টেনশনের জন্য বাস্তুদোষকেও দায়ী করছে। যেমন, আগে প্রায় সব ঘর আয়তাকার হত। এবং কখনওই ঘরের মধ্যে জলের ট্যাঙ্ক বা সেপটিক ট্যাঙ্ক থাকত না। এখন ফ্ল্যাটের মধ্যেই সব কিছু থাকছে বাস্তু নিয়ম না মেনে। ফলে টেনশন বাড়ছে। আর কী কী বাস্তুদোষে টেনশন বাড়তে পারে? জেনে নিন–  ১. ঘরের সামনের অংশ ভাঙা হলে, দেওয়ালের প্লাস্টার উঠে গেলে বা কোনও রকম খুঁত থাকলে ঘরের কর্ত্রী বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে এতটাই অবসাদে ভোগেন যে কখনওই মানসিক শান্তি কপালে জোটে না।  ২. বাড়িতে রান্নাঘর এবং স্নানঘর এক সরলরেখায় অবস্থান করলে সেই গৃহকর্তার ছোটো ভাই কোনওদিন আর্থিক দিক থেকে সফল হন না। তাঁর মেয়েও কোনওদিন মানসিক শান্তি পায় না।  ৩. বাড়ির অগ্নিকোণ নীচুতে অবস্থান করলে কর্তা অন্যায় কাজে জড়িয়ে পড়তে পারেন। বাড়িটিরও অগ্নি-ভয় ও শত্রু-ভয় দোষে দুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  ৪. একই ভাবে বায়ুকোণ নীচস্থ হলেও সেই বাড়ি শত্রু-ভয় দোষে দুষ্ট হতে পারে। এতে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির কর্তার মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়।  ৫. জমির পূর্বদিক ও অগ্নিকোণ নীচু আর বায়ুকোণ ও পশ্চিমদিক উঁচুতে থাকলে জমির মালিক নানা ব্যক্তির সঙ্গে বার বার ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়বেন। টেনশনও নিজের থেকেই বাড়বে।  ৬. ক্রমাগত ঋণ নেওয়া আর অসুখে ভোগার জন্যই কি মানসিক শান্তি নষ্ট হচ্ছে? বাস্তু বলছে, ঘরের দক্ষিণদিক ও অগ্নিকোণ নীচস্থ হলে আর বায়ুকোণ এবং পশ্চিমদিক উঁচু হলে এমনটা হতেই পারে।  ৭. ঘরের নৈক্ষত্যকোণ ও দক্ষিণদিক নীচু ও উত্তর দিক আর ঈশানকোণ উঁচু হলে গৃহকর্তা বার বার পাপ কাজে জড়িয়ে পড়েন। সব সময় ভোগ-বিলাসে মেতে থাকেন। আর বাকি সদস্য মানসিক অশান্তিতে ভোগেন!  ৮. একই সঙ্গে বাড়ির উত্তর, পূর্ব, পশ্চিম দিক আর ঈশান, নৈক্ষত্যকোণ নীচস্থ এবং দক্ষিণ দিক ও বায়ু আর অগ্নিকোণ উঁচুতে থাকলে বাসিন্দারা ভয়ঙ্কর অর্থকষ্টে ভোগেন।  ৯. ঘরের উত্তর, পূর্ব, পশ্চিমদিক, ঈশান আর বায়ুকোণ নীচস্থ এবং অগ্নি, নৈক্ষত্যকোণ আর দক্ষিণ ও পশ্চিমদিক উঁচু হলে কন্যা সন্তানের কপালে কখনও সুখ-শান্তি জোটে না। ফলে অন্যদেরও মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়।  ১০. কোনও জমির পূর্ব দিক উঁচু বা নীচু হলে বা পূর্বদিকের দেওয়াল ঘেঁষে রাস্তা কিংবা ঘর থাকলে সেই বাড়ির সন্তানের জীবনে গভীর সংকট তৈরি হয়। পরিবারের অন্যরাও নানা ভাবে অপমানিত হন।  ১১. দক্ষিণদিক, নৈক্ষত্যকোণ বা পশ্চিমদিকের এক ভাগ বা সমস্ত দিক নীচু জমিতে বাড়ি তৈরি হলে সদস্যদের আয়ের তুলনায় ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বারে বারে ঋণ নিতে হয়।  ১২. জমির বায়ুকোণ উঁচু হলে, পশ্চিমদিক ও বায়ুকোণের মাঝে অথবা বায়ুকোণ আর উত্তরদিকের মাঝখানে বাড়ি তৈরি হলে বাস্তুদোষে আপনা থেকেই পরিবারে শত্রুসংখ্যা বাড়বে। বাড়ির মালিকও বারে বারে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।  ১৩. বাড়ির ঈশানকোণ উঁচু হলে, বায়ুকোণ বা উত্তরদিক এবং ঈশানকোণের মাঝখানে কুয়ো, জলের ট্যাঙ্ক, চেম্বার, যে পয়ঃপ্রণালী বা কোনও ধরনের গর্ত থাকলে পরিবারে আয়ের তুলনায় ব্যয় হবে বেশি। এবং মানসিক চাপও বাড়বে।  ১৪. বাড়ির মেন গেট উত্তর দিকে রেখে বায়ুকোণে ঘর বানালে বাড়ির কর্তার ঐশ্বর্য-সম্পত্তি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। এর পাশাপাশি আয়ের চেয়ে ব্য বেশি হওয়ায় নির্ধন হওয়ারও সম্ভাবনা থেকেই যায়।  ১৫. বায়ুকোণ শক্তিশালী হলে বাড়ির মালিক পদে পদে বাধা-বিপত্তির মুখে পড়েন। আর অত্যধিক খরচের জন্য সব সময় অর্থকষ্টে ভোগেন।  ১৬. বাড়ির বায়ুকোণ আর পশ্চিমদিক একই সঙ্গে শক্তিশালী হলে পরিবার ধননাশজনিত কারণে সব সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন।  ১৭. একই ভাবে উত্তরদিক আর বায়ুকোণ একসঙ্গে শক্তিশালী হলে বাড়ির সদস্যরা অর্থকষ্টে ভোগেন, অকারণে অপমানিত হন এবং মানসিক শান্তি থাকে না বললেই চলে।  ১৮. নৈঋৎ কোণ বায়ুকোণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একত্রে শক্তিশালী হলে বাড়ির মালকিন দীর্ঘ অসুস্থতা ও একাধিক শত্রুর উপদ্রবের কারণে কখনও মানসিক শান্তি পান না।  ১৯. ঈশান কোণ ছোটো এবং অগ্নিকোণ বড়ো হলে পরিবারে ঝগড়া-ঝাঁটি আর অসুস্থতা লেগেই থাকে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *