প্রকৃতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে সুখ-শান্তিতে বসবাস করার রীতি-নীতি বা কৌশলই হল বাস্ত্তশাস্ত্রের মূল ভিত্তি৷ শব্দ, বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ সব ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য৷ উগ্র বা উত্কট যা কিছু তাই প্রকৃতির পজিটিভ এনার্জিকে প্রতিহত করে৷ ঘড়ির বাজনাও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়৷ আপনি যদি ঘরে বাজনা-বাজা ঘড়ি লাগানো পছন্দ করেন, তাহলে এমন ঘড়ি আনবেন যার সুর, ছন্দ খুব কোমল ও মোলায়েম অর্থাত্‍ কানের পক্ষে আরামদায়ক৷ নরম সুরের বাজনা আপনার ঘরে প্রবহমান শুভশক্তির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে ধ্বনিত হবে এবং ঘরে শুভ শক্তি অব্যাহত রাখবে৷ সুতরাং বাড়িতে উচ্চশব্দকারক যে কোনও কিছুই আপনার বসতভিটের পক্ষে শুভকারক নয়৷ঘড়ির খুব জোর বাজনা বা যে কোনও হট্টগোলের শব্দ ঘরে প্রবহমান পজিটিভ এনার্জি-র ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ঘরের শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত করে এবং অশুভ শক্তিকে আকর্ষণ করে- যা গৃহস্থ বাড়ির পক্ষে অমঙ্গলজনক৷ তাই উচ্চস্বরে চিত্কার চেঁচামেচি, বাসনের কর্কশ শব্দ, উচ্চগ্রামের গান বাজনা, রেডিও বা টিভির শব্দ এসব কিছুই ভারসাম্যের পরিপন্থী৷ সেই কারণে অশুভকারক৷ এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, ঘরের কোনও দরজার ওপরের দিকে ঘড়ি লাগানো অশুভ ফল প্রদানকারী৷

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *